আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধের দাবি
হাসিনার জুলুম ১০ ফেরাউনের চেয়েও বেশি: হাসনাত
নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা স্মরণ করে দিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগকে যারা বন্ধু ভাববে, তারাই হবে জনগণের শত্রু। জনগণের শত্রুদের প্রতিহত করতে হবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের শাসনকাল ছিল জাহেলিয়াতের যুগের মতো। গুম-খুন, দমন-পীড়ন ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের মাধ্যমে জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। ১০ জন ফেরাউনকেও একত্র করলে শেখ হাসিনার মতো জুলুমবাজ পাওয়া যাবে না।
সোমবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা মহিলা কলেজ মাঠে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা উচিত, যেন বাংলাদেশে তারা আর রাজনীতি করতে না পারে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করছে, তাদের সঙ্গে আমাদের দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে। কিন্তু কেউ যদি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায়, তবে তারা আমাদের শত্রু হিসেবে গণ্য হবে।
নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা স্মরণ করে দিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগকে যারা বন্ধু ভাববে, তারাই হবে জনগণের শত্রু। জনগণের শত্রুদের প্রতিহত করতে হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার পাশে ছিলো। ভবিষ্যতেও সেনাবাহিনী যেন জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান না নেয়, সে আহ্বান জানাই।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। জনগণের সহায়তায় এসব প্রতিষ্ঠানকে আবারও জনকল্যাণে রূপান্তরিত করা হবে। সেনাবাহিনীসহ সব সংস্থাকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র চলছে, যা রুখতে হবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এ নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে চালানো সব গণহত্যার বিচার করতে হবে। এখনো সে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। আমরা জানতে চাই, কেন এ বিচার হচ্ছে না?
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি আওয়ামী লীগের বিচার দ্রুত না হয়, তবে বোঝা যাবে যে এখনো তাদের দোসররা সক্রিয় রয়েছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এ ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মনিরুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নাগরিক পার্টির (দক্ষিণাঞ্চল) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক ডা. আশরাফুল ইসলাম সুমন, জিহান মাহমুদ, কসবা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক স্বপন, কসবা উপজেলা জামাতের নায়েবে আমির শিবলী নোমান
এ ইফতার মাহফিলে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের সদস্য, আহত যোদ্ধা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
সবার দেশ/কেএম