আ’লীগের পুনর্বাসন মানবো না: আখতার

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ যেভাবে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে, তাতে এ দলের পুনর্বাসন কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
শুক্রবার রাতে রংপুর চেম্বার ভবনে আয়োজিত এনসিপির সংগঠকদের এক আলোচনাসভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আখতার হোসেন বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির কোনো কর্মসূচিতে যদি আওয়ামী লীগের কেউ যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে, আমরা তা প্রতিহত করবো এবং অনুপ্রবেশকারীদের আইনের হাতে সোপর্দ করবো। যারা বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দিয়েছেন, তারা এ দেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের কোনও পুনর্বাসন মেনে নেবো না। স্বাধীনতার ৫০ বছরের মাথায় এসে যারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, তাদের বিচার ইতিহাসের অনিবার্য দাবি। এনসিপি এ দাবি আদায়ে জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
আলাদা পরিচয় তিন সংগঠনের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির সম্পর্ক বিষয়ে জানতে চাইলে আখতার হোসেন বলেন, এ তিনটি সংগঠন পরস্পরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেও তারা আলাদা ও স্বতন্ত্রভাবে কাজ করছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে রাজনীতির ময়দানে সক্রিয়। অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অভ্যুত্থান ও সংস্কার আন্দোলনের সামাজিক ভিত্তি গড়ে তুলছে।
ইউনূস-মোদি বৈঠক নিয়ে মত
সম্প্রতি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন বৈঠকে। তবে কেবল কথায় কাজ হবে না। শেখ হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিকভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
ড. ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান এনসিপি নেতারা
এ সময় এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ড. ইউনূস বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য একজন যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তি। আমরা চাই তিনি অন্তত পাঁচ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করুন। তার অভিজ্ঞতা ও গ্রহণযোগ্যতা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও স্বীকৃত।
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ফারজানা দিনা, রংপুরের সংগঠক আলমগীর নয়ন, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
সবার দেশ/কেএম