দুদকে হাসনাত-সারজিসের অভিযোগ
তারা বললেন- ‘ইটস ভেরি কনফিডেনশিয়াল’
দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অভিযোগটি গৃহীত হয়েছে, যথাযথ অনুসন্ধান প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। যেহেতু অভিযোগ ‘কনফিডেনশিয়াল’ হিসেবে এসেছে, তাই তথ্য প্রকাশ সম্ভব নয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ‘গোপন’ অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মোমেন-এর সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা কিছু অভিযোগ নিয়ে এসেছি এবং তা লিখিতভাবে জমা দিয়েছি। বিষয়গুলো অত্যন্ত গোপনীয়, প্রকাশযোগ্য নয়। ‘ইটস ভেরি কনফিডেনশিয়াল’। এখন যদি বলে দেই, তাহলে তো আর কনফিডেনশিয়াল থাকল না। অপরাধীরা সতর্ক হয়ে যাবে।
হাসনাতের সঙ্গে থাকা সারজিস আলম আরও বলেন, দুদক অতীতে অনেকবার ব্যবহৃত হয়েছে – কখনও কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির রাজনীতিগত প্রতিশোধে, আবার কখনো সাধারণ মানুষকে হয়রানিতে। এখন আমরা চাই— সংস্থাটি যেন নিরপেক্ষভাবে কাজ করে। আমাদের অভিযোগ আছে, আমরা সেটা জানাতে এসেছি। এর বেশি আপাতত বলা ঠিক হবে না।
যদিও অভিযোগের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তারা কিছুই জানাননি, তবে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, বিষয়টি হতে পারে সাম্প্রতিক বড় পরিসরের দুর্নীতির অভিযোগ, যা সরকার, আমলাতন্ত্র বা বেসরকারি বড় কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত। কেউ আবার ধরে নিচ্ছেন, এটি হয়তো বর্তমান কিংবা সাবেক সরকারের কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংশ্লিষ্ট দলিল হতে পারে।
দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অভিযোগটি গৃহীত হয়েছে, যথাযথ অনুসন্ধান প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। যেহেতু অভিযোগ ‘কনফিডেনশিয়াল’ হিসেবে এসেছে, তাই তথ্য প্রকাশ সম্ভব নয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) একটি নতুন রাজনৈতিক বলয় হিসেবে আলোচনায় এসেছে সম্প্রতি। সরকারবিরোধী অবস্থানে থেকেও দলটি শুদ্ধি অভিযান ও স্বচ্ছতার পক্ষে নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। হাসনাত-সারজিস জুটি ইতিমধ্যেই একাধিক সামাজিক ইস্যুতে সোচ্চার ভূমিকা রেখেছেন।
সবার দেশ/কেএম