এসএসসি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পাশে থাকার আহ্বান
ছাত্রদলের জরুরি নির্দেশনা প্রশংসনীয়

চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তাদের সকল জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও কলেজ ইউনিটের নেতাকর্মীদের প্রতি জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল ২০২৫) ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তীব্র গরমের মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অভিভাবকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের পাশে থাকার জন্য ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের তিনটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে ছাত্রদল সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে চায়।
নির্দেশনার বিস্তারিত
- পানি, স্যালাইন ও বিশ্রামের ব্যবস্থা: পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে নিয়মানুযায়ী দূরত্ব বজায় রেখে অভিভাবকদের জন্য পানি ও ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট (স্যালাইন) সরবরাহ করতে হবে। এছাড়া ছায়াযুক্ত স্থানে বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে নেতাকর্মীদের যথাসাধ্য চেষ্টা করতে বলা হয়েছে।
- জরুরি চিকিৎসা সেবা: তীব্র গরমে কেউ অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবস্থা করতে হবে। পরবর্তী পরীক্ষা থেকে এই উদ্যোগ আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- পরীক্ষার্থীদের জন্য সরঞ্জাম: পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনে কলম, স্কেল ও পেনসিলের মতো প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
ছাত্রদল নেতৃত্বের আহ্বান
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা জারি করেছেন। তারা নেতাকর্মীদের অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের পাশে থাকার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে, কেন্দ্রের গেইটে জটলা না করার এবং নিয়ম মেনে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ নির্দেশনার মাধ্যমে ছাত্রদল পরীক্ষার সময়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিচয় দিতে চায়। তীব্র গরমে অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘব এবং পরীক্ষার্থীদের সুবিধা নিশ্চিত করার এ উদ্যোগ ছাত্রদলের জনসেবামূলক ভাবমূর্তি তুলে ধরবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরীক্ষা চলাকালীন এ হেল্প ডেস্কগুলো কতটা কার্যকর হয়, তা নির্ভর করবে নেতাকর্মীদের সুষ্ঠু সমন্বয় ও বাস্তবায়নের ওপর।
ছাত্রদলের এ উদ্যোগ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য স্বস্তি নিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা করা যায়। তাদের এমন সময়োপযোগী এবং মানবিক উদ্যোগ সর্বস্তরে প্রশংসায় ভাসছে।
সবার দেশ/এমকেজে