Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ১৯:৩৯, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

কম্প্রোমাইজের রাজনীতিবিদদের সতর্ক করলেন হাসনাত

হাসনাত তার বক্তব্যে বলেন, যেদিন থেকে আমাদের আওয়ামী বিরোধী অবস্থান এবং কম্প্রোমাইজের রাজনীতির বিরোধিতাকে ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত’ বলা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই আওয়ামী লীগের মিছিল বড় হতে শুরু করেছে।

কম্প্রোমাইজের রাজনীতিবিদদের সতর্ক করলেন হাসনাত
ফাইল ছবি

রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর সাম্প্রতিক বক্তব্য। তিনি কম্প্রোমাইজের রাজনীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে রাজনীতিবিদদের সতর্ক করেছেন এবং ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণের’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। 

তার এ বক্তব্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার রাজনীতি করা নেতাদের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

হাসনাত আবদুল্লাহ সোশ্যাল মিডিয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক পোস্টের মাধ্যমে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

হাসনাত তার বক্তব্যে বলেন, যেদিন থেকে আমাদের আওয়ামী বিরোধী অবস্থান এবং কম্প্রোমাইজের রাজনীতির বিরোধিতাকে ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত’ বলা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই আওয়ামী লীগের মিছিল বড় হতে শুরু করেছে। তিনি কম্প্রোমাইজের রাজনীতিতে জড়িতদের উদ্দেশে স্পষ্টভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা কম্প্রোমাইজের রাজনীতি করছেন, তাদের সতর্ক করছি—অতি শিঘ্রই আওয়ামী লীগ নিয়ে সিদ্ধান্তে আসুন। না হলে আপনারা করবেন কম্প্রোমাইজের রাজনীতি, আর আমি করব শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ।

তিনি আরও যোগ করেন, আমি শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ শুরু করলে নিতে পারবেন না। সাবধান হয়ে যান। 

এ বক্তব্যের মাধ্যমে হাসনাত পতিত আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার বিরুদ্ধে তার দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে যেকোনও ধরনের রাজনৈতিক মীমাংসার প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

হাসনাতের এ বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীর অবস্থান তীব্র হচ্ছে, এবং একই সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক নেতা সমঝোতার পথ খুঁজছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। হাসনাতের বক্তব্য এ সমঝোতার প্রচেষ্টাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছে। তিনি মনে করেন, কম্প্রোমাইজের রাজনীতি আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করছে, যা তিনি কোনোভাবেই মেনে নিতে প্রস্তুত নন।

হাসনাতের এ বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। আওয়ামী বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অনেকে তার এ কঠোর অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, এটি রাজনৈতিক আন্দোলনকে আরও জোরদার করবে। অন্যদিকে, কম্প্রোমাইজের পক্ষে থাকা রাজনীতিবিদরা এ বক্তব্যকে ‘অপ্রয়োজনীয় উসকানি’ হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সমঝোতা অপরিহার্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, হাসনাতের বক্তব্য রাজনৈতিক মেরুকরণকে আরও তীব্র করবে। 

হাসনাত তার বক্তব্যে ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ’-এর বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি রাজনৈতিক আন্দোলন, বিক্ষোভ, অথবা অন্য কোনো তীব্র প্রতিবাদের পথ বেছে নিতে পারেন। তার এ হুঁশিয়ারি কম্প্রোমাইজের রাজনীতিতে জড়িতদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সবার দেশ/এমকেজে