Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:০৩, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১৭:০৬, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

তুরাগ তীরে দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির ঢল

বিশ্ব ইজতেমা শুরু আগামীকাল

ইতোমধ্যে ৫০টিরও বেশি দেশের বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে পৌঁছেছেন। তাদের জন্য ময়দানের পশ্চিম পাশে নির্ধারিত কামরা বরাদ্দ করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। ইজতেমায় প্রায় সাত হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

বিশ্ব ইজতেমা শুরু আগামীকাল
ছবি: সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আম বয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এমনটিই জানালেন ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান। বিশ্ব ইজতেমার এটি প্রথম পর্ব, চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এ পর্ব শেষ হবে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব, যা ৫ ফেব্রুয়ারির আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে।

দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমা

এবার শুরায়ী নেজামের অধীনে ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম পর্বে ঢাকাসহ ৪১ জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে—গাজীপুর, টঙ্গী, ধামরাই, গাইবান্ধা, মিরপুর, কাকরাইল, নাটোর, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, দোহার, ডেমরা, নড়াইল, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নবাবগঞ্জ, নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোর, মাগুরা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, নেত্রকোনা, শেরপুর, ফরিদপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পিরোজপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও রাজবাড়ী।

এছাড়াও, ইতোমধ্যে ৫০টিরও বেশি দেশের বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে পৌঁছেছেন। তাদের জন্য ময়দানের পশ্চিম পাশে নির্ধারিত কামরা বরাদ্দ করা হয়েছে।

ইজতেমার নিরাপত্তায় কঠোর ব্যবস্থা

বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান জানান, ইজতেমায় প্রায় সাত হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

তিনি আরও জানান, ময়দান এলাকায় র‍্যাবের হেলিকপ্টার টহল থাকবে, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে, সেখান থেকে বাইনোকুলারের মাধ্যমে গোটা এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া ৩৩৫টি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে পুরো ইজতেমা ময়দান।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইজতেমা মাঠকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। র‍্যাব, পুলিশ, ডিজিএফআই, এনএসআই, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

এছাড়া, ইজতেমার নিজস্ব ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজ করবে।

যান চলাচলে বিশেষ ব্যবস্থা

ইজতেমা চলাকালীন সময় যানজট নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইজতেমা এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। আখেরি মোনাজাতের দিন ইজতেমা এলাকায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে, যাতে মুসল্লিদের যাতায়াতে কোনো অসুবিধা না হয়।

বিশ্ব ইজতেমার এ বিশাল আয়োজনে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দেশ-বিদেশ থেকে অংশ নিতে শুরু করেছেন। আগামী দুই সপ্তাহজুড়ে তুরাগ তীরে ইসলামের আলোকে আধ্যাত্মিকতার এক বিরাট মিলনমেলা বসবে।

সবার দেশ/এমকেজে