Advertisement

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৫৫, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫

ধ্বংসস্তূপের নিচে ১০ হাজার লাশ থাকতে পারে

গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে লাগবে ২১ বছর

ইসরায়েলি গণহত্যামূলক তাণ্ডবে গাজা উপত্যকায় প্রায় ৪৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সংঘাতের কারণে গাজার উন্নয়ন ৬৯ বছর পিছিয়ে গেছে।

গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে লাগবে ২১ বছর
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের গণহত্যামূলক তাণ্ডবের পর গাজায় পাঁচ কোটি টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে ২১ বছর সময় লাগতে পারে। আর এ কাজে খরচ হতে পারে ১২০ কোটি ডলার। গাজা নিয়ে জাতিসংঘের ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়নে এমনটাই উঠে এসেছে। জাতিসংঘের মূল্যায়ন অনুযায়ী, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধের পর গাজা পুনর্গঠনে কয়েক বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ধ্বংসস্তূপে সম্ভবত মানুষের দেহাবশেষও রয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ধ্বংসস্তূপের নিচে ১০ হাজার লাশ থাকতে পারে।

ইসরায়েলি গণহত্যামূলক তাণ্ডবে গাজা উপত্যকায় প্রায় ৪৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ১৫ মাস পর গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) সেখানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এক কর্মকর্তা বলেছেন, সংঘাতের কারণে গাজার উন্নয়ন ৬৯ বছর পিছিয়ে গেছে।

গত বছর প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো, গাজার বিধ্বস্ত বাড়িঘর পুনর্নির্মাণে অন্তত ২০৪০ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। তবে আরও বহু বছর বেশিও লাগতে পারে।

গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘের স্যাটেলাইট তথ্য অনুসারে, গাজার যুদ্ধ-পূর্ব কাঠামোর দুই-তৃতীয়াংশ ১৭০,০০০ এরও বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে।

জাতিসংঘ-বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষ নাগাদ অবকাঠামোগত ক্ষতির পরিমাণ ১৮.৫ বিলিয়ন ডলার। আবাসিক ভবন, বাণিজ্য, শিল্প এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জ্বালানির মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোও ধ্বংস হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

সবার দেশ/কেএম