Advertisement

সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

শেয়ারমার্কেটে অস্থিরতার পেছনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতা

শেয়ারমার্কেটে অস্থিরতার পেছনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতা
ছবি: সংগৃহীত

শেয়ারমার্কেটে অস্থিরতার পেছনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতা ও ‘প্লেয়ারদের’ ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেউদ্দিন আহমেদ। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধাণীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ব্যাংকিং অ্যালমানাকের ষষ্ঠ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অর্থ সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, গত ১৫ বছরে বড় ধরনের তথ্যবিভ্রাট ঘটানো হয়েছে। ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো শেয়ারমার্কেটের অবস্থাও একই রকমের। শেয়ারমার্কেটে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা অস্তিত্ব বা ন্যূনতম কোনো মূল্য নেই এমন কোম্পানির শেয়ার মহাআনন্দে কিনছেন। আবার শেয়ারের দাম কমে গেলে আন্দোলন করেন। এটা ঠিক নয়। তবে শেয়ারমার্কেটের প্লেয়ার ও রেগুলেটরের অনেক দোষ আছে। 

এখন কোনো কারচুপি নেই বলেই মূল্যস্ফীতি বেশি দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিবিএসকে বলা হয়েছে, তথ্য যা আছে তাই যেন প্রকাশ করা হয়। গত ১৫ বছরের পরিসংখ্যান বিভ্রাট নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি, জিডিপি নিয়ে পরিসংখ্যান বিভ্রাটের পেছনে অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুল রয়েছে, আবার নীতিনির্ধারকরাও লুকানোর চেষ্টা করেছেন। 

তিনি বলেন, তারা কোনো ক্ষমতা দেখাতে আসেননি, শুধু দায়িত্ব নিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার একটি জাতীয় সিঙ্গেল উইন্ডো তৈরির চেষ্টা করছে, যাতে ব্যবসায়ীরা এক জায়গা থেকে সব তথ্য পেতে পারেন।
 
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজ চলছে এবং সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতাও সন্তোষজনক পর্যায়ে। তবে বাজারে বিশেষ সুবিধাভোগী ব্যবসায়িক শ্রেণির (অলিগার্ক) প্রভাব এখনও বিরাজ করছে, যা অর্থনীতি বিশেষত মূল্যস্ফীতির জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। তাই অলিগার্কদের প্রভাব কমানোর পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। 

তিনি আশা করেন, যথাযথ পদক্ষেপ নিলে এসব ক্ষেত্রে ২০২৫ সালের মধ্যে ইতিবাচক কিছু দেখা যাবে। এখন অর্থনীতির চাকা ঘোরানো বা বেগবান করা দরকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নসহ অনেক কিছু করার আছে। 

প্রকাশনার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, হালনাগাদ তথ্য দেয়া সম্ভব হয়নি। এখন ২০২৪ সালের ডিসেম্বর চললেও তথ্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ব্যাংকিং অ্যালমানাক ছাপা ও অনলাইন উভয় রূপেই প্রকাশিত হয়েছে। অ্যামাজন ডটকম, রকমারি ডটকম ও প্রকাশনা সংস্থা পাঠক সমাবেশের বিক্রয়কেন্দ্র থেকে বইটি কেনা যাবে। দাম ১ হাজার ২৫০ টাকা।

সবার দেশ/এফএ