বন্দি পুরুষের স্ত্রীর সঙ্গে এমন আচরণ স্বীকৃত, বলেন আলেপ
কদরের রোজা ভাঙিয়ে কয়েদির স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে হাসিনার র্যাব
গুম হওয়া স্বামী বলছেন পবিত্র শবে কদরের দিন রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষন করা হয় তার স্ত্রীকে। এর আগেও প্রায় তিনবার ধর্ষন করা হয়েছে স্বামীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে। শেষবার ধর্ষনের পর স্ত্রীর মানসিক অবস্থার অবনতি হয় এবং কিছুদিন পরে মৃত্যুবরন করেন তিনি।

আসামিকে ক্রসফায়ার দেয়া হবে বলে প্রথমে আসামির স্ত্রীকে ভয় দেখানো হতো। এরপর ক্রসফায়ার থেকে মুক্তি দেয়ার শর্ত হিসেবে সামনে প্রস্তাব রাখত শারীরিক সম্পর্কের। স্বামীকে বাঁচাতে র্যাব কর্মকর্তার সঙ্গে করতে হতো মিলন। একবার দুইবার নয়, বহুবার।
এভাবে ভয় দেখিয়ে রোজা ভাঙিয়ে এক নারীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে আলেপ উদ্দিন নামে তৎকালীন র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ নারীর স্বামীকে আটকে রেখে বারবার সে নারীকে ধর্ষন করে আলেপ উদ্দীন নামের খুনি হাসিনার পোষ্য র্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিন।
অভিযোগ উঠার পর থেকে এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ সম্পর্কিত আলজাজিরার সাংবাদিক মউদুদ সুজনের একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
সে পোস্টে মউদুদ সুজন ফেসবুকে লিখেছেন, গুম হওয়া স্বামী বলছেন পবিত্র শবে কদরের দিন রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষন করা হয় তার স্ত্রীকে। এর আগেও প্রায় তিনবার ধর্ষন করা হয়েছে স্বামীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে। শেষবার ধর্ষনের পর স্ত্রীর মানসিক অবস্থার অবনতি হয় এবং কিছুদিন পরে মৃত্যুবরন করেন তিনি।
সে পোস্টে ধর্ষকের নাম জানিয়ে লিখা হয়, ধর্ষক র্যাবের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা, নাম আলেপ। স্বামী সবকিছু হারিয়ে যখন আলেপকে বারবার ফোন দিতে থাকে আলেপ রিপ্লাইয়ে জানান, বন্দি মেয়ে বা বন্দি পুরুষদের স্ত্রীদের সাথে এমন আচরণ এখানে অলিখিতভাবে স্বীকৃত........।
মউদুদ সুজন সে র্যাব কর্মকর্তার বিচার চেয়ে লিখেন, মানুষ কতটা নিচুতে নামলে নিজের মা/ স্ত্রী/মেয়ে থাকা সত্ত্বেও একজন বন্দির স্ত্রীকে এমনভাবে ট্রিট করে! এ র্যাব কর্মকর্তা আলেপের বিচার সবার আগে হওয়া উচিত।
সবার দেশ/এমকেজে