Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:১৭, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পিনাকীর পোস্টে হাসিনার তাহাজ্জুদ

পিনাকীর পোস্টে হাসিনার তাহাজ্জুদ
ছবি: সংগৃহীত

ভারতে বিতাড়িত ক্রাইম মিনিস্টার খুনি হাসিনার তাহাজ্জুদ নিয়ে গল্প মানুষের মুখে মুখে। অবশ্য এর একক কৃতীত্ব শুধু শেখ হাসিনাই প্রাপ্য। 

মুসলিমরা সবাই অবগত আরবি ‘তাহাজ্জুদ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ রাত জাগা। শরিয়তের পরিভাষায় রাত দ্বিপ্রহরের পর ঘুম থেকে জেগে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যে নামাজ আদায় করা হয়, তা-ই 'সালাতুত তাহাজ্জুদ' বা তাহাজ্জুদ নামাজ। বান্দার সঙ্গে মহান প্রভুর এ সম্পর্ক গভীর রাতে এতো গোপনে হয় যে, বাসার লোকজনও জানে না যে ওই বাসার কেউ তাহাজ্জুদ পড়ছেন, যদি না একই সময় একই বাসার অন্য কেউ তাহাজ্জুদ পড়েন। কিন্তু পতিত হাসিনা বিভিন্ন সময়ে তার তাহাজ্জুদ পড়া নিজেই বলে বেড়াতেন।

এ বিষয়ে সোশ্যাল একটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য় তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন, যেটা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। 

পিনাকী তার পোস্টে লিখেন, গতকাল ময়না ভাবী দাওয়াত করেছিলেন ৩২ নাম্বার ‘জয় বাংলা’ হওয়ায় খুশীতে, আমরাও ঘোরতে গেলাম। ময়না ভাবী হচ্ছেন, মতিউর রহমান রেন্টু ভাইয়ের স্ত্রী। উনিও থাকতেন হাসিনার সাথেই। অনেকটা পার্সোনাল এসিস্ট্যান্টের মতো। আলাপের একটা পর্যায়ে বললাম, আসলেই কি হাসিনা তাহাজ্জুদ পড়তো? ময়না ভাবী বললেন, ওটা আমাদের দেখার সুযোগ ছিলোনা। সে দুইটা ঘরে ঘুমাতো। আধা রাত্রি এক ঘরে বাকী আধা রাত্রি আরেক ঘরে। একটা বেডরুমে টাকা থাকতো বস্তায় ভর্তি করে। অনেকেই টাকা নিয়ে আসতো, এমনকি খোদ রওশন এরশাদ, ইকবাল এদেরকে টাকা নিয়ে আসতে দেখেছেন। 

আমি বললাম নামাজ কি পড়তো? ময়না ভাবী হেসে দিয়ে বললেন, নামাজ নিয়ে প্রচুর মিথ্যা কথা বলতো। একদিন কাদের সিদ্দিকী এসেছে, হাসিনা ভিসিআরে হিন্দি সিনেমা দেখতেছে ঘরে। দেখা করবে না কাদের সিদ্দিকীর সাথে। ময়না ভাবীকে হাসিনা বললো, বলে দাও নামাজ পড়তেছি। এইটা শুনে ময়না ভাবীকে কাদের সিদ্দিকি বলছিলো, মিথ্যা কথা বলো কেন ময়না, তোমার আপা কী করতেছে আমি জানি। যাই হোক উনারে বইলো আমি আসছিলাম।

উল্লেখ্য মতিউর রহমান রেন্টু ১৯৭৫ এ কাদের সিদ্দিকীর সাথে ইন্ডিয়া চলে যায় আর মুজিবের হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তৈরি করা গেরিলা বাহিনীর একজন গুরুত্বপূর্ণ গেরিলা ছিলেন।

সবার দেশ/এমকেজে