Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৪৯, ১৬ মার্চ ২০২৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রীর দাম্ভিকতা

‘বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসবো’

প্রতিপক্ষকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, এত দিন আমরা পলাতক ছিলাম, এখন তোমাদের পলাতক থাকার পালা শুরু। খেলা শুরু হবে এখন। 

‘বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসবো’
সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী তামান্না শারমিন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সাজ্জাদকে গ্রেফতারের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তার স্ত্রী তামান্না শারমিনের বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। 

ভিডিওতে তামান্না শারমিনকে বলতে শোনা যায়, আমরা কাঁড়ি কাঁড়ি, বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসবো। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ছাড় দেয়া হবে না।

ভিডিওতে ১৭ মামলার আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে জামিনে ছাড়িয়ে আনবেন বলে জানান স্ত্রী তামান্না শারমিন। তিনি বলেন, আমার জামাই গতকাল (শনিবার) রাতে গ্রেফতার হয়েছে, এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মামলা যখন আছে, গ্রেফতার হবেই। আপনারা যারা ভাবতেছেন, আর কোনও দিন বের হবে না, তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা। 

প্রতিপক্ষকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, এত দিন আমরা পলাতক ছিলাম, এখন তোমাদের পলাতক থাকার পালা শুরু। খেলা শুরু হবে এখন। 

শনিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার একটি শপিং মলে ঘোরাঘুরি করার সময় সাজ্জাদকে আটক করে তেজগাঁও থানা–পুলিশ। এর আগে তাকে ধরতে গত ৩০ জানুয়ারি পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। এর আগের দিন নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে ফেসবুক লাইভে এসে হুমকি দিয়েছিলেন সাজ্জাদ হোসেন।

পুলিশ জানায়, গত জানুয়ারিতে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসিকে বিবস্ত্র করে পেটানোর হুমকি দিয়েছিলেন সাজ্জাদ। এরপর ‘ছোট সাজ্জাদ’ ও ‘বুড়ির নাতি’ হিসেবে পরিচিত সাজ্জাদকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ। 

ফেসবুক লাইভে সাজ্জাদ বলেছিলেন, ওসি আরিফ দেশের যে প্রান্তেই থাকেন না কেন, তাকে নগরের অক্সিজেনে ধরে এনে পেটানো হবে। প্রয়োজনে মরে যাবো। কিন্তু হার মানবো না। 

এ ছাড়া পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ওসি আরিফ চাঁদাবাজিসহ আমার সন্তান হত্যায় জড়িত, তাকে যাতে বদলি করা হয়। 

পরে এ ঘটনায় ওসি আরিফুর রহমান থানায় জিডি করেন। সে সময় সাজ্জাদের অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য পুলিশকে দিতে পারলে তথ্যদাতাকে উপযুক্ত অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেন নগর পুলিশের কমিশনার।

জানা গেছে, গত বছরের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে। পরের মাসের শুরুতে জামিনে বের হন তিনি। সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামী থানাসংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে। ৪ ডিসেম্বর নগরের অক্সিজেন এলাকায় পুলিশ ধরতে গেলে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান তিনি। এতে পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া শাখা থেকে জানানো হয়, সাজ্জাদকে শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি থেকে তেজগাঁও থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।

সবার দেশ/কেএম