মধ্যরাতে ঢাবি উত্তাল, ছাত্রনেতাদের হুঁশিয়ারি
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে ‘ইফ, হোয়াই, বাট’ নেই

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি তীব্রতর হচ্ছে। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এক পোস্টে বলেছেন, ‘যদি, কেন, কিন্তু’ ছাড়াই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশে আবারও জুলাই নেমে আসবে!
তিনি আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগ দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা, দমন-পীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী, তাই দলটিকে নিষিদ্ধ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। রাত দেড়টার দিকে শুরু হওয়া এ মিছিল হল পাড়া থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন-
‘ধরি ধরি না, ধরলে কিন্তু ছাড়ি না!’
‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করো, করতে হবে!’
‘আওয়ামী লীগের চামড়া তুলে নিবো আমরা!’
‘গড়িমসি চলবে না, নিষিদ্ধ চাই!’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, যেই আওয়ামী লীগ দুই হাজারের মতো মানুষ হত্যা করেছে, তিরিশ হাজারের বেশি আহত করেছে, সেই দলের আর রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। অবিলম্বে দলটিকে নিষিদ্ধ করতে হবে, কোনো ধরনের গড়িমসি করা চলবে না।
এদিন মধ্যরাতে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর পরিকল্পনা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি তার ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার সমঝোতা করতে ছাত্র নেতাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পরিকল্পনা চলছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলন নতুন মাত্রা পেতে পারে।
সবার দেশ/কেএম