Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৫৫, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

পরিচয় বদলের জন্য লিঙ্গ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত

পুরুষ থেকে নারী হতে চেয়ে দিল্লিতে আটক ৫ ছাত্রলীগ নেতা

পুলিশের দাবি, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা নিজেদের আগের রাজনৈতিক পরিচয় ও অতীত কর্মকাণ্ড মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন। তারা লিঙ্গ পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন পরিচয়ে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। এক পর্যায়ে কেউ কেউ ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন।

পুরুষ থেকে নারী হতে চেয়ে দিল্লিতে আটক ৫ ছাত্রলীগ নেতা
.

বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাড়ি জমিয়ে হরমোনাল চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এমন ৫ জন যুবককে দিল্লি পুলিশ আটক করেছে। জানা গেছে, তারা সকলেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের সাবেক ও বর্তমান নেতা। তারা গোপনে নিজেদের লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য ভারতে আসেন এবং দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে হরমোন থেরাপি শুরু করেছিলেন। তাদের গ্রেফতার করা হয় গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃতরা ভারতীয় ভিসা নিয়ে পর্যটক হিসেবে দিল্লি আসেন, কিন্তু চিকিৎসা ছিলো তাদের মূল উদ্দেশ্য। তাদের মধ্যে দুজনের কয়েক দিনের মধ্যে অস্ত্রোপচারের সময় নির্ধারিত ছিলো। বাকি তিনজন পর্যায়ক্রমে হরমোনাল চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন।

পরিচয় পাল্টাতে চেয়েছিলেন তারা

পুলিশ সূত্রের দাবি, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা নিজেদের আগের রাজনৈতিক পরিচয় ও অতীত কর্মকাণ্ড মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন। তারা লিঙ্গ পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন পরিচয়ে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। এক পর্যায়ে কেউ কেউ ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। গ্রেফতারকৃতদের নাম মোহাম্মদ শাকিদুল, মোহাম্মদ দুলাল আখতার, মোহাম্মদ মাহির, মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম এবং সাদ্দাম হোসেন বলে জানা গেছে।

জাল পাসপোর্ট ও ভারতীয় সহযোগীদের খোঁজ

তদন্তে জানা গেছে, তাদের কারও কারও পাসপোর্টে ভুল তথ্য ছিলো এবং হরমোনাল চিকিৎসার জন্য যে কাগজপত্র প্রয়োজন তা ভুয়া পরিচয়ে সংগ্রহ করা হয়েছিলো। দিল্লি পুলিশের সন্দেহ, একটি চক্র এ পুরো প্রক্রিয়ায় তাদের সহায়তা করেছে। ভারতীয় একটি ক্লিনিক এবং কয়েকজন স্থানীয় এজেন্টের নামও তদন্তে উঠে এসেছে।

ছাত্রলীগের প্রতিক্রিয়া

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, এরা সক্রিয় রাজনীতিতে নেই অথবা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে এমনটি করেছে। তবে সংগঠনের ভাবমূর্তিতে এ ঘটনাটি ব্যাপক আঘাত করেছে বলে স্বীকার করছেন অনেকেই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়

ঘটনাটি সামনে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছেন। আবার অনেকে এটিকে ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয় বলে দেখছেন এবং আটক হওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপ

ভারতের আইন অনুযায়ী, বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভুয়া কাগজপত্রে চিকিৎসা গ্রহণ, ভিসার শর্ত ভঙ্গ ও পরিচয় গোপন রাখার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে তাদের বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানায় দিল্লি পুলিশ।

সবার দেশ/এমকেজে