ষড়যন্ত্রের শেকড় বহুদূর
‘রিফাইন্ড আওয়ামীলীগ’র গোপন অফিস মতলুবের ভবন!
তারা যে কোন লেভেলের ইতরামো করেছে এবং এর প্রতিক্রিয়া ব্যাপক হলে, মুত্রত্যাগের কোন উপায়ও থাকবে না, তা তারা ভালোই জানে। কঠিন সময়ে মূত্রত্যাগের জন্য প্যান্টের জিপার হিসেবে যে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, সেটাই আজ ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে উচ্চারিত হচ্ছে।

গুলশান ১ রাজধানীর ঢাকার ‘সিঙ্গাপুর’ নামে খ্যাত এলাকায় কর্মচাঞ্চল্য সারাদিন। দেশি-বিদেশি প্রায় সকল কর্পোরেট হাউজগুলো লোকারণ্য থাকলেও একবারেই ভিন্নচিত্র দেখা যায় ‘লেক ম্যান’ নামে রোড নং ৩৫ এ অবস্থিত ৯ নাম্বার বাড়িটি। দিনের বেলায় নিরব-নিস্তব্দ থাকলেও সন্ধ্যার পরপরই জেগে ওঠে ভারতীয় ‘র'-এর এজেন্ট, ভারত বাংলাদেশ চেম্বারের সাবেক সভাপতি এবং নিটোল টাটা গ্ৰুপের চেয়ারম্যান মাতলুব আহমাদের এ ভবনটি। অফিস পাড়ার অন্যান্ন বাড়িগুলো যখন একে একে বাতি নিভিয়ে ঘরমুখো হতে প্রস্তুত, ঠিক তখনই একএক করে বাতি জ্বলে ওঠে রহস্যঘেরা ওই ভবনটিতে।
মতলুবের এ ভবন যেনো পলাশীর ভাগ্য লেখা ঐতিহাসিক ষড়যন্ত্রের কাশিমবাজার কুঠি। এটি ঘিরে এখন আওয়ামী লীগের পালিয়ে বেড়ানো কর্মী, নেতা, আওয়ামী ঘরাণার বুদ্ধিজীবি, শিল্পীদের গোপন আনাগোনা চলছে। রাত যত গভীর হয়, ষড়যন্ত্রকারীদের আনাগোনা ততই বাড়তে থাকে। তারা সীমান্তের ওপাড়ে বসা ঘষেটি বেগম হাসিনা গংদের রাডারের সঙ্গে কানেকটেড। ষড়যন্ত্রের হেড কোয়ার্টার দিল্লী, আঞ্চলিক কার্যালয় কোলকাতা হলে ‘লেক ম্যান’ তার বাংলাদেশ শাখা অফিস। আঞ্চলিক কার্যালয়ের তরিকা অনুযায়ী তারা এখানে মিডিয়া সেট করছে, সন্ত্রাসী হায়ার করছে, একের পর এক গুজব ছড়াচ্ছে, আওয়ামী আমলা, পুলিশ, সেনাকর্মকর্তাদের সঙ্গে লিয়াজো মেইনটেইন করছে। ১৬ বছরে লুট করা কাড়িকাড়ি টাকা ব্যয় করছে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়াতে। ঈদকে সামনে রেখে বড় ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে দেশকে অস্থিতিশীল করতেও মরিয়া ছিলো এ চক্রটি। ১৬ বছরের বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা এখন দেদারসে ঢালছে এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে। যদিও আজতক তাদের সব ষড়যন্ত্রই এক এক ব্যর্থ করে দিয়েছে ড. ইউনূসের সরকার।
সূত্রটি বলছে, এমন কার্যক্রমের নেপথ্যে সক্রিয় কাজ করছেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার। তিনি সন্ধ্যার পরপরই প্রবেশ করেন রহস্যময় ওই রহস্যঘেরা ভবনটিতে। অবস্থান করেন ভোর অবধি। উল্লেখ্য, মতলুবের ঘনিষ্ট বন্ধু ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ওয়াহাব ঐ ভবনটি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শুরুটা এক এগারোতে, যখন ‘মাইনাস টু’ ফর্মূলা বাংলাদেশের রাজনীতিতে চাউর হয়েছিলো। সে যাত্রা আওয়ামীলীগ পার পেয়ে গেলেও ভবিষ্যতের জন্যে তারা ভেতরে ভেতরে হালকা সুশীল প্রলেপ দিয়ে তৈরি করেছে রেখেছে তথাকথিত ‘রিফাইন্ড লীগ’।
আওয়ামীলীগ আর কিছু জানুক আর না জানুক, ইতরামোটা ভালোই জানে। তারা যে কোন লেভেলের ইতরামো করেছে এবং এর প্রতিক্রিয়া ব্যাপক হলে, মুত্রত্যাগের কোন উপায়ও থাকবে না, তা তারা ভালোই জানে। কঠিন সময়ে মূত্রত্যাগের জন্য প্যান্টের জিপার হিসেবে যে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, সেটাই আজ ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে উচ্চারিত হচ্ছে।
এক এগারোতে আওয়ামী লীগ নিজেদের অপকর্ম শুধরিয়ে ভালো হওয়ার শিক্ষাটা নেয়নি, নিয়েছে পরবর্তীতে দলের এমন অবস্থা হলে কিভাবে কামব্যাক করবে সে শিক্ষা। সেজন্যই তখন আবদুল মতিন খসরু, সাবের হোসেন চৌধুরী, আবুল হাসান চৌধুরী কায়সারদের মন্ত্রী পরিষদে অন্তর্ভূক্ত করেনি। তাদেরকে জনগণের সাদা চোখে সতীসাধ্বী দেখানোর একটা চেষ্টা করা হয়েছে। সোহেল তাজকে এক ঝলক মন্ত্রীত্বের টিকিট দিলেও বিদ্রোহী নাটকে জনগণের নায়ক বানানোর চেষ্টাও ছিলো দারুণ। সমরনায়ক জেনারেল আজিজ, আইজিপি বেনজির আর ডিবি হারুন। সাথে রেখেছিলো জোঁকার, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, গুন্ডা শামীম ওসমানের সঙ্গে অম্ল-মধুর ঝগড়ার অভিনয় করা নাসিকের মেয়র সেলিনা হয়াত আইভী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র মামাতো ভাইয়ের জোরে বলীয়ান ফজলে নূর তাপসকে। যদিও পরবর্তীকালে তাপসের বিতর্কিত কর্মকান্ড হাসিনাকে ছাড়িয়ে না গেলেও প্রায় তার কাছাকাছি পৌঁছেছে।
সম্প্রতি সেনাপ্রধান ওয়াকারকে নিয়ে এনসিপি'র হাসনাত আবদুল্লাহর ওপেন হার্ট সার্জারী আর আসিফ মাহমুদের খুল্লামখুল্লা বক্তব্যে সে ষড়যন্ত্রের আঁচ কিছুটা হলেও জনগণ পেয়েছেন। ইনক্লসিভ নির্বাচনের নামে দেশি-বিদেশি চক্র আওয়ামীলীগের একটি অংশকে সুশীলের পৈতা পরিয়ে যেনোতেনোভাবে জোট করিয়ে হলেও ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদের মতো ইনু-মিনু-দিলীপ টাইপে সংসদে আনতে চাইছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুন্ডা আওয়ামী লীগকে আবারও প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে এ অশুভ চক্রটি। সেনাপ্রধানের প্রত্যক্ষ মদদে সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের একটা অংশের সঙ্গে ভারত, আমেরিকাও এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত। আর এ ষড়যন্ত্রের কাশিমবাজার কুঠি হচ্ছে আওয়ামী ব্যবসায়ী মতলুব আহমদের এ ভবনটি।
আ’লীগের বাংলাদেশ শাখার অঘোষিত কার্যালয় এখন গুলশানের সে ভবন। আর আঞ্চলিক কার্যালয় কলকাতার সল্ট লেক-নিউটাউন এলাকার একটি বাড়ি। কথিত আছে দিল্লি থেকে বিতাড়িত খুনি হাসিনা আস্তানা গেড়েছে সেখানে। সঙ্গে যোগ দিয়েছে পতিত আওয়ামীলীগের আরও শতাধিক খুনি। সেখানে বসেই এখন তারা বাংলাদেশ বিরোধী একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। ড. ইউনূসের সরকারকে টালমাটাল করার সর্বোত চেষ্টা করছেন। সহযোগী হিসেব যোগ দিয়েছে কোলকাতার গদি মিডিয়া খ্যাত একঝাঁক গুজবকারী। সেখানে বসে গুজব প্রোডাকশন করে ছেড়ে দিচ্ছে বাংলাদেশি পেইড এজেন্টদের। সম্প্রতি টক-শো, ঝাল-শো গুলোতে এদের সরব উপস্থিতি অনেকেরই চোখে পড়ছে। ১৭ বছর নুন খেয়ে এখন আস্তে আস্তে তারা রিফাইন, সুশীল, কম খারাপ ইত্যাদি অভিধায় ইনিয়ে বিনিয়ে ইনক্লুসিভ নির্বাচনের শোর ওঠাচ্ছে।
তবে তাদের এমন ষড়যন্ত্রের আগুনে কিছুটা হলেও পানি ঢেলে দিয়েছেন জুলাই বিপ্লবের অন্যতম নায়ক এনসিপির হাসনাত আবদুল্লাহ। আমরা লক্ষ্য করেছি ৫ আগষ্টের পর সেনাপ্রধান জুলাই বিপ্লবকে কখনোই ওউন করেননি। তিনি তার বিভিন্ন সময়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যে কখনও জুলাই বিপ্লবের নিহত-আহতদের নিয়ে কোনও সমবেদনা জানাননি। কিন্তু হাসনাত-আসিফের বক্তব্যের পর ঘটা করে জুলাই বিপ্লবের আহতদের নিয়ে ইফতার আয়োজন করেছেন সেনাপ্রধান। তাদের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বিড়ালের শিকা এমনি এমনি ছিঁড়েনি।
আমরা জাতিসংঘের প্রতিবেদন থেকে জেনেছি, জুলাই আন্দোলনে ৬৬ % গুলি ছুড়েছে সেনাবাহিনী আর ৩৪℅ গুলি ছুড়েছে পুলিশ ও অন্যান বাহিনী। অর্থাৎ জুলাই বিপ্লবে মাঠে থাকা মুল খলনায়ক সেনাপ্রধান ওয়াকার। কারণ, সেনাপ্রধানের অনুমতি ছাড়া একটা গুলিও কোন সৈনিক বা অফিসার ছুড়তে পারে না। অথচ জুলাই পরবর্তী সময়ে ওয়াকার সেজেছেন নায়ক, ফেরেস্তা। ভাব এমন, যেনো তিনি কিছুই করেননি। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আমরা দেখলাম ওয়াকারের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষণ। পিলখানা হত্যাকান্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত ওয়াকার তদন্তে সীমারেখা টেনে দিয়েছেন। ‘সেনাবাহিনী জড়িত নয়’, এমন বয়ান প্রতিষ্ঠা করতে সেখানে ফুলস্টপ বসিয়ে দিয়েছেন। ৫ আগষ্টে ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় দেয়া তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৬২৬ জন আওয়ামী গুন্ডাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন। ২৬০ এর অধিক ‘র’ অফিসারকে বিমানবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। আয়নাঘরের অপরাধের চিহ্ন মুছে ফেলেছেন। ড. ইউনূসকে আয়নাঘর পরিদর্শন করতে দিতে গড়িমসি করেছেন। সেনা সদস্যদের মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে ডেপ্লোয়েড করেও সাত মাসের বেশি সময়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সন্তোষজনক উন্নতি করতে পারেননি। উপরন্ত আইন-শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটিয়ে বিভিন্ন কৌশলে ড. ইউনূস সরকারকে শুরু থেকেই চাপে রেখেছেন ওয়াকার। এখনও আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে দেয়া হয়নি। ওয়াকার মুলত ভারতের মাল, ঠিক হাসিনার মতো, একই গ্রুপের ঔষধ শুধু নাম ভিন্ন। মতলুবের ওই ভবন থেকে এ সকল ষড়যন্ত্রের সব কর্মকাণ্ডের দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। ওই বাড়িতে ওহী আসছে কোলকাতা থেকে।
আরও পড়ুন <<>> ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে ভয়ংকর ষড়যন্ত্র চলছে
প্রধান উপদেষ্টা ড.ইউনূস গিয়েছেন চীন সফরের সময় যখন খুবই কাছাকাছি, আর ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ওয়াকার বসে বসে দেখবে? এটি কোনভাবেই ভারত মেনে নিতে পারছে না। সেজন্যে জনতা-সেনাবাহিনী মুখোমুখি দাঁড় করানোর অজুহাত খুঁজার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশে সফল সফর করে গেলে তার সে চেষ্টাও ভেস্তে গেছে। ‘তুলসী গ্যাবার্ড’ কার্ড মাঠে মারা গেছে ড. ইউনূসের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে।
কেউ কেউ অবশ্য সম্প্রতি বঙ্গভবনে সেনাপ্রধানকে নামাজের ইমামতি করতে দেখে আশ্বস্ত হয়েছেন যে, তিনি হয়তো নিজেকে বদলেছেন। দেশবাসীও আশ্বস্ত হতে চায় তিনি বদলেছেন। কিন্তু এটাও বাস্তবতা যে সেনাপ্রধান হওয়ার আগে/পরে সিসির ইমামতির ছবি কায়দা করে প্রচার করা হয়েছিলো মিশরে। সিসির এ পরহেজগারি দেখে গলে যান মুহাম্মাদ মুরসি। সরল সহজ মুরসি ভুলে যান যে, ইসরায়েলে মিলিটারী এটাশের দায়িত্ব পালন করেছিলো আবেদল ফাত্তাহ সিসি। মিশরের ১০ কোটি জনগন, গাজার ২০ লাখ মানুষ, সবাই আজ জীবন দিয়ে, সেদিনের ‘ইমাম সিসি’-কে বিশ্বাস করার মূল্য দিচ্ছে। অর্থাৎ জেনারেলদের ইমামতির ছবি ভাইরাল করার পেছনে কোন উদ্দেশ্য থাকলেও থাকতে পারে। জেনারেল নামাজি হলেও ফ্যাসিবাদীর বন্ধু হতে পারে, ইসরায়েলে, ভারত খুনি হাসিনারও বন্ধু হতে পারে, এটাও মনে রাখতে হবে। ইতিহাস দেখে সতর্ক হওয়াই উত্তম, জেনারেলদের নামাজ দেখে না।
গত সপ্তাহে সিআইডির গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের ষড়যন্ত্র ও অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের পরিকল্পনার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামক একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মিটিংয়ের মাধ্যমে গোপনে গৃহযুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামক একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে শতাধিক বাংলাদেশি ও প্রবাসী নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। ওই মিটিংয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী লুটেরা হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার জন্য গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার বিষয়টি আলোচিত হয়। এ পরিকল্পনা অনুসারে, অংশগ্রহণকারীরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ফের গৃহযুদ্ধ শুরু করার অঙ্গীকার করেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। আর এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কাশিমবাজার কুঠি খ্যাত মতলববাজ মতলুবের ‘লেক ম্যান’ ভবনটি।
অন্যায়ের কাছে কভু নত নাহি শির, ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর। এ ষড়যন্ত্রও ব্যর্থ হবে, বিজয় জনতারই হবে ইনশাআল্লাহ। তুলসী গ্যাবার্ড, ভারতের সেনাপ্রধান, মোদির নালিশ কোন কিছুই খুনি হাসিনাকে পূনর্বাসন করতে পারবে না। পারবে না আওয়ামী লীগের পূনর্বাসনও। তা যে কোন বিশেষণেই হোক না কেনো। বাংলাদেশে ৫ আগষ্টেই আওয়ামীলীগের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন সে মৃতের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে।