Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

পাকিস্তানকে নাড়াবে না ভারত

নরেন্দ্র মোদির ‘সেনাবাহিনীকে ফ্রি হ্যান্ড’ দেয়ার বক্তব্য জনগণের মধ্যে শক্তিশালী ভাবমূর্তি তৈরি করলেও, এটি যুদ্ধের পরিবর্তে কৌশলগত পশ্চাদপসরণের ইঙ্গিত দেয়। ভারত পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি এড়াতে চায়, এবং মোদি সরকার কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।

পাকিস্তানকে নাড়াবে না ভারত
ছবি: সবার দেশ

বলিউড বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র নির্মাণে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। চলচ্চিত্র নিয়ে ব্যবসায়িক সফলতার দিক থেকে হলিউডের পরেই বলিউডের স্থান, এবং এটি ভারতের জন্য গর্বের বিষয়। তবে, বলিউডের যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো ভারতীয় জনগণের মনে একটি ভ্রান্ত ধারণা প্রতিষ্ঠিত করেছে—যুদ্ধক্ষেত্রে ভারত অপরাজেয় এবং পাকিস্তান তাদের প্রধান শত্রু, যাকে তারা সহজেই পরাজিত করতে পারে। 

এসব চলচ্চিত্রে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্ব অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপিত হলেও, বাস্তবতা এর থেকে অনেকটাই ভিন্ন। ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতা, অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, সম্প্রতি উত্তেজনা, এবং তৃতীয় পক্ষের ভূমিকার তুলনামূলক বিশ্লেষণ নিম্নরূপ।

বলিউডের প্রভাব ও জনগণের মানসিকতা

বলিউডের যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, যেমন বর্ডার (১৯৯৭), এলওসি কার্গিল (২০০৩), উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (২০১৯), এবং শেরশাহ (২০২১), ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অতিমানবীয় শক্তির অধিকারী হিসেবে চিত্রিত করে। এসব চলচ্চিতে পাকিস্তানকে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখানো হয়, এবং ভারতীয় সেনারা তাদের সহজেই পরাজিত করে। এমন আখ্যান ভারতীয় দর্শকদের মনে ভারতের সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের একটি অবাস্তব ধারণা তৈরি করেছে। 

ভারতের কিছু মিডিয়া, যাকে প্রায়শই ‘গদি মিডিয়া’ বলা হয়, এ প্রপাগাণ্ডাকে আরও উসকে দেয়। টেলিভিশন চ্যানেল, সোশ্যাল মিডিয়া, এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধোন্মাদনা ছড়ানো হয়, যা জনগণের মধ্যে এ বিশ্বাস জন্ম দেয় যে ভারত পাকিস্তানকে যেকোনও সময় ‘বিশ্বের মানচিত্র থেকে মুছে দিতে পারে।’ তবে, বাস্তব যুদ্ধক্ষেত্রে ফলাফল চলচ্চিত্রের মতো অতো সরল নয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী এ বাস্তবতা ভালোভাবেই উপলব্ধি করে, যদিও জনগণের একটি বড় অংশ বলিউডের কাল্পনিক জগতে আটকে আছে।

ভারতের সামরিক সক্ষমতা: একটি গভীর পর্যালোচনা

২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলা, যেখানে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জন ভারতীয় কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) সদস্য নিহত হয়, ভারতের জন্য একটি লজ্জাজনক অভিজ্ঞতা ছিলো। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ পরিচালনা করে। তবে, পাকিস্তানের পাল্টা বিমান হামলায় ভারতের একটি মিগ-২১ বিমান ধ্বংস হয় এবং পাইলট অভিনন্দন বর্তমান বন্দী হন। পরে দু’দেশের সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার প্রেক্ষিতে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান পাইলট অভিনন্দন। এ ঘটনা ভারতের সামরিক দুর্বলতা এবং প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে।

সামরিক সরঞ্জামের অবস্থা

পুলওয়ামা হামলার পরপরই ২০১৯ সালে ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে (রাজ্যসভা) সামরিক সক্ষমতা নিয়ে আলোচনায় উঠে আসে যে ভারতের সমরাস্ত্রের ৬৮% পুরোনো প্রযুক্তির, যা আধুনিক যুদ্ধে অকার্যকর। মাত্র ২৪% অস্ত্র আধুনিক এবং ৮% অত্যাধুনিক। গত পাঁচ বছরে অত্যাধুনিক অস্ত্রের পরিমাণ ১৬%-এ উন্নীত হয়েছে, তবে এটি এখনও অপ্রতুল। উদাহরণস্বরূপ:

  • বিমান বাহিনী: ভারতীয় বিমান বাহিনীর বেশিরভাগ জঙ্গি বিমান, যেমন মিগ-২১ এবং জাগুয়ার, ১৯৭০-৮০ দশকের। এগুলো পাকিস্তানের জে-১০সি বা জেএফ-১৭ থান্ডারের তুলনায় পিছিয়ে। ভারতের বিমান বাহিনীর বেশিরভাগ জঙ্গি বিমান (যেমন মিগ-২১) ১৯৭০-এর দশকের, যা আধুনিক যুদ্ধে অকার্যকর।
  • স্থল বাহিনী: ভারতের টি-৭২ ট্যাঙ্কগুলো পুরোনো, এবং নতুন আর্টিলারি সিস্টেমের সংখ্যা সীমিত।
  • নৌবাহিনী: ভারতের নৌবাহিনী তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী হলেও, সাবমেরিনের সংখ্যা এবং আধুনিকীকরণে ঘাটতি রয়েছে।

আধুনিকায়নের প্রচেষ্টা

ভারত ফ্রান্সের রাফাল জঙ্গি বিমান (৩৬টি), রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, এবং দেশীয় তেজাস জঙ্গি বিমান সংগ্রহ করেছে। এছাড়া, ভারত ইসরায়েলের সঙ্গে ড্রোন প্রযুক্তি এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে সহযোগিতা করছে। তবে, ভারতের বিশাল সেনাবাহিনী (১.৪ মিলিয়ন সক্রিয় সৈন্য) এবং বিস্তৃত প্রতিরক্ষা প্রয়োজনের তুলনায় এ আধুনিকীকরণ ধীরগতির। বাজেট সীমাবদ্ধতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, এবং দেশীয় অস্ত্র উৎপাদনের অপ্রতুলতা এ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে।

রণকৌশল ও মনোবল

ভারতের সামরিক বাহিনী সংখ্যার দিক থেকে পাকিস্তানের (৬.৫ লাখ সক্রিয় সৈন্য) তুলনায় প্রায় দ্বিগুনের চেয়েওে বড়। তবে, যুদ্ধ জয়ের জন্য শুধু সংখ্যা নয়, আধুনিক রণকৌশল, প্রশিক্ষণ, এবং আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন। ২০১৯-এর বালাকোট ঘটনায় ভারতের বিমান বাহিনীর সমন্বয়ের অভাব এবং তথ্য প্রযুক্তির দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়া, ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে আধুনিক যুদ্ধ কৌশলের প্রশিক্ষণ এবং সাইবার যুদ্ধের প্রস্তুতি এখনও পর্যাপ্ত নয়।

অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ

ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ যুদ্ধের সম্ভাবনাকে আরও জটিল করে। খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুন ঘোষণা দিয়েছেন যে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হলে ২ কোটি শিখ পাকিস্তানের পক্ষে ভারতের বিরুদ্ধে লড়বে। এ হুমকি পাঞ্জাবে অশান্তি এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া, নকশালবাদী বিদ্রোহ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ভারতের সামরিক মনোযোগ বিভক্ত করছে।

পাকিস্তানের সামরিক আধুনিকায়ন

পাকিস্তান গত পাঁচ বছরে চীন ও তুরস্কের সহায়তায় তাদের সামরিক বাহিনীকে ব্যাপকভাবে আধুনিকায়ন করেছে। বিগত বছরগুলোতে চীনের সমরাস্ত্র রফতানির ৮২% পাকিস্তান ক্রয় করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অস্ত্র হলো:

  • জঙ্গি বিমান: জে-১০সি এবং জেএফ-১৭ থান্ডার, যা ভারতের মিগ-২১ এবং সুখোই-৩০ এর তুলনায় উন্নত।
  • নৌবাহিনী: চীনের টাইপ-০৫৪এ/পি ফ্রিগেট এবং ইউয়ান-শ্রেণির সাবমেরিন।
  • প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা: এইচকিউ-৯ এবং এইচকিউ-১৬ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
  • ক্ষেপণাস্ত্র: চীন থেকে সরবরাহকৃত সিএম-৪০০একে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং বাবর ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র।

তুরস্ক সম্প্রতি সাতটি সামরিক বিমানে অস্ত্র সরবরাহ করেছে, যার মধ্যে বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন এবং টি-১২৯ আক্রমণ হেলিকপ্টার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এ আধুনিকীকরণ পাকিস্তানের বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী, এবং ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করেছে।

পাকিস্তানের রণকৌশল

পাকিস্তানের সামরিক কৌশল প্রতিরক্ষামূলক হলেও, তারা আক্রমণাত্মক ক্ষমতা বাড়িয়েছে। চীনের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া এবং তুরস্কের প্রযুক্তিগত সহায়তা তাদের সাইবার যুদ্ধ এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়িয়েছে। পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র (আনুমানিক ১৭০টি ওয়ারহেড) ভারতের জন্য প্রধান প্রতিবন্ধকতা, কারণ এটি যুদ্ধের ক্ষেত্রে পারস্পরিক ধ্বংসের নিশ্চয়তা দেয়।

তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা

  • চীন: চীন পাকিস্তানের প্রধান মিত্র এবং অস্ত্র সরবরাহকারী। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) এবং যৌথ সামরিক মহড়া তাদের সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছে। লাদাখে ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনা ভারতের সামরিক মনোযোগ বিভক্ত করছে, যা পাকিস্তানের জন্য কৌশলগত সুবিধা।
  • তুরস্ক: তুরস্ক পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করেছে। তুরস্কের ড্রোন প্রযুক্তি এবং আক্রমণ হেলিকপ্টার পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়েছে। তুরস্কের সমর্থন পাকিস্তানের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক শক্তি যোগ করছে।
  • ইসরায়েল: ইসরায়েল ভারতের পক্ষে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, বিশেষ করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে। তবে, মধ্যপ্রাচ্যে হামাস, হিজবুল্লাহ এবং হুথির সঙ্গে চলমান সংঘাত ইসরায়েলের সক্ষমতা সীমিত করছে। ফলে, ভারতের উপর তাদের নির্ভরতা ঝুঁকিপূর্ণ।
  • যুক্তরাষ্ট্র: নরেন্দ্র মোদির তথাকথিত বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্প নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে, বিশেষ করে আফগানিস্তান ইস্যুতে। এটি ভারতের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার ইঙ্গিত দেয়।

সম্প্রতি উত্তেজনা

২০২৫ সালের ২২ এপ্রিলে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র হামলায় ৭ জন ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ভারত এ হামলার জন্য পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠীকে দায়ী করে এবং পাকিস্তানের আকাশসীমায় ভারতীয় বিমান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পাকিস্তান পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে এবং সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়ায়। এ উত্তেজনা সরাসরি সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে।

ভারতের শক্তি ও দুর্বলতা

ভারতের সামরিক বাহিনী সংখ্যার দিক থেকে শক্তিশালী এবং তাদের পারমাণবিক অস্ত্র (আনুমানিক ১৬০টি ওয়ারহেড) যুদ্ধে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। তবে, পুরোনো সমরাস্ত্র, অপ্রতুল রণকৌশল, এবং অভ্যন্তরীণ বিভেদ তাদের দুর্বল করে। খালিস্তান ইস্যু এবং নকশালবাদী বিদ্রোহ ভারতের সামরিক মনোযোগ বিভক্ত করছে। এছাড়া, চীনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা ভারতের জন্য দ্বিতীয় ফ্রন্টের ঝুঁকি তৈরি করেছে।

পাকিস্তানের শক্তি ও দুর্বলতা

পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্র এবং চীন-তুরস্কের সমর্থন তাদের কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করেছে। তাদের পারমাণবিক অস্ত্র যুদ্ধে ভারতের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপকে নিরুৎসাহিত করবে। তবে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা তাদের দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের সক্ষমতা সীমিত করতে পারে।

নরেন্দ্র মোদির কৌশল

নরেন্দ্র মোদির ‘সেনাবাহিনীকে ফ্রি হ্যান্ড’ দেয়ার বক্তব্য জনগণের মধ্যে শক্তিশালী ভাবমূর্তি তৈরি করলেও, এটি যুদ্ধের পরিবর্তে কৌশলগত পশ্চাদপসরণের ইঙ্গিত দেয়। ভারত পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি এড়াতে চায়, এবং মোদি সরকার কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। তার হুমকি-ধামকি ভারতের আভ্যন্তরীণ ইস্যু যেমন ওয়াকফ আইন বিতর্ক, সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত দাঙ্গা দমনে ব্যর্থতা, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কুটনৈতিক ব্যরাথতা আড়াল করার প্রয়াস।

বলিউডের চলচ্চিত্র ভারতীয় জনগণের মনে যুদ্ধজয়ের কাল্পনিক স্বপ্ন তৈরি করলেও, বাস্তবতা অনেক জটিল। ভারতের সামরিক শক্তি সংখ্যার দিক থেকে উল্লেখযোগ্য হলেও, পুরোনো অস্ত্র, অভ্যন্তরীণ বিভেদ, এবং কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ তাদের দুর্বল করে। পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্র এবং চীন-তুরস্কের সমর্থন তাদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। তাছাড়া প্রতিবেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান কারও সঙ্গেই ভারতের সু-সম্পর্ক নেই। এদিক দিয়ে পাকিস্তান প্রায় সবার সঙ্গেই সু-সম্পর্ক বজায় রেখেছে। নিধিরাম সর্দার আঞ্চলিক মিত্রহীন ভারতের পক্ষে অন্তত এ সময়ে পাকিস্তানকে নাড়া দেয়ার সাহস হবেনা বলেই সামরিক বিশ্লেষকগণ মনে করেন।

সবার দেশ/কেএম