Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:১৩, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ০০:১৪, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

৭৯ বছরেও ফ্যাসিস্ট মুসোলিনি ইতালিতে ঘৃণীত 

ফ্যাসিস্টের বংশধরকে দর্শকদের ঘৃণা

মুসোলিনি জুনিয়র দর্শকতদর বললেন, যদি আমার ডাকনাম নিয়ে কারও আপত্তি থাকে এবং তাদের যদি চুপ করাতে হয়, তবে সেটা আমি করব।

ফ্যাসিস্টের বংশধরকে দর্শকদের ঘৃণা
ছবি: সংগৃহীত

ইতালির ফ্যাসিস্ট শাসক বেনিতো মুসোলিনির নাম কে না জানে? ১৯২২ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৪৫ সালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। সে মুসোলিনির বংশধর এখন খেলছেন ইতালির ফুটবল লিগে! রোমানো ফ্লোরিয়ানি মুসোলিনি নামের ২১ বছর বয়সী এ ফুটবলার ‘মুসোলিনি জুনিয়র’ নামে পরিচিত।

মুসোলিনি জুনিয়র সম্পর্কে বেনিতো মুসোলিনির প্রপৌত্র বা নাতির ঘরের পুতি। তার দূর সম্পর্কের দাদী হলেন ইতালির কিংবদন্তি অভিনেত্রী সোফিয়া লরেন। হুট করেই রোমানোর গণমাধ্যমের শিরোনামে আসার কারণ- তিনি রবিবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে ইতালিয়ান ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর সিরি ‘বি’তে গোল করে দলকে জিতিয়েছেন। ২১ মিনিটে করা ফ্লোরিয়ানির গোলেই জয় পায় জুভ স্তাবিয়া।

মজার ব্যাপার হলো, মাঠে খেলার সময় রোমানোকে স্বস্তি দেয়নি দর্শকেরা। তার গোলের পর স্টেডিয়ামের মাইকে ‘রোমানো’ নামটি যতবারই বলা হয়েছে, সমর্থকেরা এর প্রতিক্রিয়ায় ততবারই ‘মুসোলিনি’ বলেছেন! শুধু তাই নয়, দর্শকরা দাঁড়িয়ে সামনে ডান হাত বাড়িয়ে ‘রোমান স্যালুট’ দিয়েছেন, যেটা সাধারণত ‘ফ্যাসিস্ট স্যালুট’ হিসেবে পরিচিত।

বেচারা রোমানো দর্শকদের থামাতে ঠোঁটে আঙুল রেখে চুপ থাকার ইঙ্গিত করেছেন। ম্যাচ শেষে রোমানো বলেছেন, আমার প্রপিতামহ বেনিতো মুসোলিনি ইতালিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। কিন্তু এটা ২০২৪ সাল এবং পৃথিবীও পাল্টে গেছে। তবে ধ্যানধারণা তো সব সময় থাকবেই। কিন্তু আমার কাজে সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই এবং এটা দিয়ে আমাকে মূল্যায়নও করবেন না। যদি আমার ডাকনাম নিয়ে কারও আপত্তি থাকে এবং তাদের যদি চুপ করাতে হয়, তবে সেটা আমি করব।

সবার দেশ/এওয়াই

সম্পর্কিত বিষয়: