দুদকের অভিযান
‘মুজিব শতবর্ষ’ নামে ১৯ কোটি লোপাট বিসিবির
তৃতীয় থেকে দশম আসর পর্যন্ত ৮ বছরে টিকিট বিক্রির আয় দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অথচ গত বছর একটি আসরেই আয় হয়েছে ১৫ কোটি, আর এবার বিসিবি নিজে টিকিট বিক্রি করায় আয় হয়েছে ১৩ কোটি টাকা।

শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০-২১ সালে আয়োজিত ‘মুজিব শতবর্ষ’ উদযাপনের নামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে প্রায় ১৯ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে বিসিবি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মুজিব ১০০ প্রোগ্রামে ২৫ কোটি টাকা খরচ দেখানো হলেও প্রকৃত খরচ হয়েছে মাত্র ৭ কোটি টাকা। প্রায় ১৯ কোটি টাকা খরচ না দেখিয়ে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এ ছাড়া টিকিট বিক্রি থেকে আয় হওয়া ২ কোটি টাকাও হিসাবে দেখানো হয়নি। তিনি জানান, বরাদ্দ ছিলো ১৫ কোটি টাকা, কিন্তু এ অনিয়মের মাধ্যমে আত্মসাতের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। দুদক ফিন্যান্স বিভাগের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করেছে।
শুধু মুজিব শতবর্ষ নয়, বিসিবির অন্যান্য খাতেও অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক। বিশেষ করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) টিকিট বিক্রিতে বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে। সহকারী পরিচালক আল আমিন বলেন, তৃতীয় থেকে দশম আসর পর্যন্ত ৮ বছরে টিকিট বিক্রির আয় দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অথচ গত বছর একটি আসরেই আয় হয়েছে ১৫ কোটি, আর এবার বিসিবি নিজে টিকিট বিক্রি করায় আয় হয়েছে ১৩ কোটি টাকা। এ বিশাল অসঙ্গতির কারণ খতিয়ে দেখতে আমরা নথিপত্র সংগ্রহ করছি।
এ ছাড়া তৃতীয় বিভাগের দল নির্বাচনেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আল আমিন জানান, আগে দল বাছাইয়ের জন্য ফি ছিলো ৫ লাখ টাকা, ফলে মাত্র ২-৩টি দল অংশ নিতো। এ বছর ফি ১ লাখ টাকা করায় ৬০টি ক্লাব আবেদন করে। আগে কেনো বেশি দল অংশ নিতে পারেনি, ব্যক্তিগত বা বোর্ডের কোনো প্রভাব ছিলো কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। বাছাইয়ের কিছু শর্তও ছিলো, যা পাড়া-মহল্লার দলগুলোর পক্ষে পূরণ করা সম্ভব ছিলো না, বলেন তিনি।
দুদক জানিয়েছে, সংগ্রহ করা নথিপত্র পর্যালোচনা করে এসব অনিয়মের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সবার দেশ/এমকেজে