বাংলাদেশকে হারিয়ে জিম্বাবুয়ের নতুন ইতিহাস!

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ তে এগিয়ে গেলো সফরকারী জিম্বাবুয়ে। এ জয়ে ২০২১ সালের পর লাল বলে জয় পেলে তারাG অন্যদিকে সাত বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলো রোডেশিয়ানরা।
আলোকসল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা তাড়াতাড়ি শেষ হলেও আজ চতুর্থদিনের শুরুটা বাংলাদেশ দলের জন্য ছিলো বিবর্ণ। জিম্বাবুয়ে পেসার মুজরাবামির বলে খেলতে গিয়ে হঠাতে ছন্দপতন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট। ৬০ রানের মাথায় নাওছির তালুবন্ধি হন দূর্বল শট খেলতে গিয়ে। নাজমুলের বিদায়ে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন আরেক অভিজ্ঞ মেহেদি হাসান ফিরেন ১১ রান করে।
দিনের শুরুতে এমন হতশ্রী ব্যাটিং করা বাংলাদেশ দলের লিড বাড়ানোর দায়িত্ব পড়েছিলো গতদিনের অপরাজিত ব্যাটার জাকের আলির কাঁধে। তরুণ হাসান মাহমুদকে নিয়ে সে কাজটাও করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে ছয় মারতে গিয়ে মুজারাবামির তালুবন্ধি হয়ে হাসান ফিরলে ভাঙে ৩৫ রানের জুটি। শেষদিকে দলের রান বাড়াতে গিয়ে হাসানের মতো ভুল করে বসেন প্রথম চার টেস্টে চার হাফসেঞ্চুরি হাঁকানোর জাকের আলি। তার ৫৮ রানের ইনিংসে বাংলাদেশে লিড পায় ১৭৩ রানের।
বাংলাদেশের দেয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ ইনিংস হিসেবে বেশ কঠিণ হলেও জিম্বাবুয়ের জন্য সে কাজটা সহজ করে দেন দুই ওপেনার । প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসে ও হাফসেঞ্চুরি করেন ব্রানেট (৫৪) অন্য ওপেনার বেন কারান ফিরেন ৪৪ রানে । তবে দুই ওপেনারকে থামিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন মেহেদি হাসান। দেড়শ রানের আগেই রোডাশিয়ানদের ৬ উইকেট তুলে আলোকসল্পতার সিলেটে খেলা জমিয়ে দেয় বাংলাদেশ। তবে দিনের শেষ মুহূর্তে মাধেভেরে চার মেরে জিম্বাবুয়ের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
বাংলাদেশের দেয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্য জিম্বাবুয়ে খুইয়েছে ৭ উইকেট হারিয়ে, যা জিম্বাবুয়ের টেস্ট ইতিহাসে রেকর্ড রান তাড়া করে জয়। আগের রেকর্ডটা ১৬২ রনি তাড়া করার। ১৯৯৮ সালে পেশোয়ার পাকিস্তানের দেওয়া ১৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৭ উইকেটে জিতেছিলো দলটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
- বাংলাদেশ: ১৯১ ও ২৫৫ (নাজমুল ৬০, জাকের ৫৮, মুমিনুল ৪৭, মাহমুদুল ৩৩; মুজারাবানি ৬/৭২, মাসাকাদজা ২/২০)।
- জিম্বাবুয়ে: ২৭৩ ও ৫০.১ ওভারে ১৭৪/৭ (বেনেট ৫৪, কারেন ৪৪, মাধেভেরে ১৯*; মিরাজ ৫/৫০, তাইজুল ২/৭০)। ফল: জিম্বাবুয়ে ৩ উইকেটে জয়ী।
- ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ব্লেসিং মুজারাবানি। সিরিজ: দুই ম্যাচের সিরিজে জিম্বাবুয়ে ১–০–তে এগিয়ে।
সবার দেশ/কেএম