Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৫০, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

পাকিস্তানের তাড়া খেয়ে পালিয়েছে ভারতের ৪ যুদ্ধবিমান

পাকিস্তানের তাড়া খেয়ে পালিয়েছে ভারতের ৪ যুদ্ধবিমান
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) তাড়া খেয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) চারটি রাফাল যুদ্ধবিমান পালাতে বাধ্য হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। বুধবার (৩০ এপ্রিল ২০২৫) পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিটিভি নিউজের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ডন এ তথ্য জানায়। 

পিটিভি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমানগুলো অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে টহল দিচ্ছিলো। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপের ফলে ভারতীয় বিমানগুলো আতঙ্কিত হয়ে পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য পাকিস্তান সরকার বা সামরিক বাহিনী থেকে এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

এ ঘটনা গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ঘটেছে। হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই ছিলেন ভারতীয় পর্যটক। এটি ছিলো ২০০০ সালের পর কাশ্মীরে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। 

ভারত দাবি করেছে, হামলাকারীদের পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে, যদিও কোনো প্রমাণ ছাড়াই এ অভিযোগ করা হয়েছে বলে পাকিস্তানের দাবি। 

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ হামলার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন, এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, পাকিস্তান তার সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করেছে এবং ভারতের যেকোনও আগ্রাসনের জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত।

অন্যদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পহেলগাম হামলার জবাবে কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি সামরিক বাহিনীকে ‘পূর্ণ কার্যকরী স্বাধীনতা’ দিয়েছেন, যাতে তারা হামলার জন্য দায়ীদের শাস্তি দিতে পারে। মোদি বলেছেন, ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী ও তাদের সমর্থনকারীকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেবে।

পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, পিএএফের তৎপরতার কারণে ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমানগুলো নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) অতিক্রম না করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনাকে আরও তীব্র করেছে। একই সময়ে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী দুটি ভারতীয় কোয়াডকপ্টার ড্রোন ভূপাতিত করেছে, যেগুলো এলওসি বরাবর পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিলো।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ উত্তেজনা নিরসনে উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয় দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। ইরান মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে, এবং সৌদি আরবও উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করছে।

সবার দেশ/কেএম