রাজধানীতে ডিবি পুলিশের অভিযান
আ’লীগের সাবেক এমপি কেরামত আলী গ্রেফতার

রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা কাজী কেরামত আলীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার (৬ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিবি কমিশনার জানান, কাজী কেরামত আলীর বিরুদ্ধে ঢাকা ও রাজবাড়ীতে একাধিক মামলা রয়েছে। তার মধ্যে একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে এবং সোমবার (৭ এপ্রিল) আদালতে তোলা হবে। তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে সেগুলোর তদন্ত চলমান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র জানায়, গত ৩১ আগস্ট রাজবাড়ীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে কেরামত আলী, তার ভাই কাজী ইরাদত আলীসহ আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় আরও ৩০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
এফআইআরে অভিযোগ করা হয়, রাজবাড়ী সদর উপজেলার কাউরিয়া গ্রামের রাজিব মোল্যা নামক এক আন্দোলনকারী কোটা সংস্কার সভায় অংশ নেয়ার সময় সরকারি দলের লোকজন তার ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
কাজী কেরামত আলী ছিলেন একাধিক মেয়াদে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য। ২০১৪-২০১৮ মেয়াদে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্থানীয় রাজনীতিতে তার প্রভাবশালী অবস্থান এবং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তার সম্পৃক্ততা বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কেরামত আলীর গ্রেফতার দলীয় অভ্যন্তরীণ পুনর্গঠন ও চলমান শুদ্ধি অভিযানের অংশ হতে পারে।
এ গ্রেফতার নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বা রাজবাড়ী জেলা কমিটির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের রাজবাড়ী জেলা ইউনিটের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী–যিনি কেরামত আলীর ভাই, তাকেও একই মামলায় আসামি করা হয়েছে। ফলে জেলা রাজনীতিতে পারিবারিক রাজনৈতিক বৃত্তের একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এ গ্রেফতারকে।
সবার দেশ/কেএম