Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৩৭, ২০ মার্চ ২০২৫

আওয়ামী লীগ-ইসরায়েল ঐতিহাসিক সম্পর্ক

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রেক্ষিতে, আমি আপনার সরকারকে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

আওয়ামী লীগ-ইসরায়েল ঐতিহাসিক সম্পর্ক
ছবি: সংগৃহীত

পতিত আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা প্রায়ই বলে থাকেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সন্ত্রাসী ইহুদীরাষ্ট্র ইসরায়েলকে কোনও এককালে ১০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। অবশ্য এটা নিয়ে গুজব তৈরির কারখানা আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত কোন ফেক ডকুমেন্টও হাজির করতে পারেনি।

বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্র থেকে দেশবাসীর অনেকেই জানেন, লুটেরা হাসিনা, হাসিনাপুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়, দলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-নেত্রীরই ইহুদী, খৃষ্টান এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে বৈবাহিক-অবৈবাহিক বহু সম্পর্ক রয়েছে।

পোস্টের চিঠিটি ২৮ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর থেকে ইসরায়েলের রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। এটি বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ কর্তৃক স্বাক্ষরিত। চিঠির মূল বিষয়বস্তু নিম্নরূপ(বাংলায় অনুবাদ করা):

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
মুজিবনগর, ২৮ এপ্রিল, ১৯৭১।
ইসরায়েলের রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে,
তেল-আভিভ।

মহামান্য,
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ঘোষণা ও শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জানানো হচ্ছে।

স্বাধীনতার ঘোষণা, আইন অব্যাহত রাখার নির্দেশনা এবং মন্ত্রিপরিষদের তালিকা সংযুক্ত করা হলো, যেগুলো যথাক্রমে 'A', 'B' এবং 'C' নামে চিহ্নিত রয়েছে এবং আপনার পর্যালোচনার জন্য প্রেরণ করা হলো।

বাংলাদেশ সরকার ২৬ মার্চ, ১৯৭১ এর আগে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ভূখণ্ডে পূর্ণ সার্বভৌমত্ব এবং বৈধ ক্ষমতা প্রয়োগ করছে এবং আন্তর্জাতিক আইনের স্বীকৃত রীতিনীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রেক্ষিতে, আমি আপনার সরকারকে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার উদ্দেশ্যে দূত বিনিময়ের জন্য প্রস্তুত।

মহামান্য, আমাদের সর্বোচ্চ সম্মান গ্রহণ করুন।

(স্বাক্ষরিত)
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

(স্বাক্ষরিত)
খন্দকার মোশতাক আহমেদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, চিঠিটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মাসখানেক পরই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে লেখা হয়েছিলো।

সবার দেশ/কেএম