Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৩২, ১ এপ্রিল ২০২৫

আমাকে জোর করেই জামাত বানিয়ে ছাড়বে!

তারেক রহমানকে লেখা প্রিসিলার চিঠি ভাইরাল

আপনাকে শুধু কিছুদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই না , চাই না কোন কারনে আপনার উপর আগের সরকারের মত অপবাদ আসুক । তবে আমি মোটামুটি নিশ্চিত , আপনার শীর্ষ নেতারা আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে । উনারা জনগণের পালস বুঝে না , জনতার বিপক্ষে।

তারেক রহমানকে লেখা প্রিসিলার চিঠি ভাইরাল
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি, জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এদেশের অনেক নিরীহ, ভদ্রোচিত, শিক্ষিত, মার্জিত, রুচিশীল জনগনের ভালোবাসার নাম। তারা যেমন এ দলটিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়, তেমনি দলের নেতা কর্মীদের কোন ব্যত্যয় দেখলে সমালোচনা করতেও দ্বিধাবোধ করেন না।

তেমনি এক বিএনপি সমর্থক প্রিসিলা। ঈদের দিন তিনি বিএপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যনকে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন, যা ইতোমধে ব্যাপক ভাইরার হয়েছে। সবার দেশ পাঠকদের জন্য চিঠিটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো। 

‘জনাব তারেক রহমান স্যার,

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। ঈদের শুভেচ্ছা।

আমি তেমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ নই, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আপনাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছি। এজন্য বহুবার হয়রানির শিকার হয়েছি, যা আমার কাছে নতুন কিছু নয়। তবে এখন নতুন একটি বিষয় আমাকে অবাক করছে—আপনার দলের কিছু কর্মী ও সমর্থক যখন-তখন আমাকে ‘জামাত’ বলে অভিহিত করছেন! মনে হচ্ছে, তারা যেন আমাকে জোর করেই জামাত বানিয়ে ছাড়বে! যদিও আমি জামাতপন্থী হওয়াকে কোনো অপরাধ মনে করি না, তবুও এই আচরণ আমাকে হতাশ করে।

স্যার, একটি বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই—আপনার দলের শীর্ষ নেতারা দলের নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। আমার ব্যক্তিগত বিশ্লেষণে দেখেছি, আসন্ন নির্বাচনে আপনার দল সবচেয়ে বেশি আসন পেতে পারে, কিন্তু কিছু নেতার অযাচিত বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের কারণে দলের সুনাম ব্যাপকভাবে নষ্ট হচ্ছে।

আজকাল আপনার দলের বড় বড় নেতারা এমন সব বক্তব্য দিচ্ছেন, যা তাদের মর্যাদার সঙ্গে যায় না। ফলে তরুণ সমাজ ও শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে দলের গ্রহণযোগ্যতা কমছে। আগে যখন আপনাদের পক্ষে পোস্ট দিতাম, প্রচুর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেতাম। কিন্তু এখন সেই নেতাদের বক্তব্য প্রকাশ করলেই মানুষ ব্যঙ্গাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখায়, ‘হা হা’ রিঅ্যাক্টে ভরে যায়!

আমি মনে করি, আপনার দলের নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকা জরুরি। কে কী বলবেন, কোথায় বলবেন, কীভাবে বলবেন—এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দল আরও বিতর্কিত হবে। বর্তমানে কিছু নেতা এমন বক্তব্য দিচ্ছেন, যা তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে। তারা একদিন এক কথা বলেন, আরেকদিন আরেক কথা বলে দলকে অস্থিতিশীল করছেন।

আমার মনে হয় না, এই নেতারা সত্যিকার অর্থে আপনার কথা শোনেন বা দলের মঙ্গল চান। তাদের কথা শুনলে মনে হয়, তারা ক্ষমতায় গিয়ে দ্রুত লুটপাট করে বিদেশে বাড়ি-গাড়ি করার পরিকল্পনা করছে! স্যার, আপনি যদি এখনই সতর্ক না হন, তাহলে ক্ষমতায় গিয়েও বেশীদিন টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।

আমরা এমন এক সময়ে বসবাস করছি, যেখানে যতগুলো টিভি চ্যানেল আছে, তার চেয়ে সাংবাদিক বেশি। প্রতিটি ফেসবুক আইডি এখন একেকটি টিভি চ্যানেলের মতো কাজ করছে। অন্যায় কিছু করে এই নজরদারি থেকে বেঁচে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই দায়িত্বশীল আচরণ ও সুসংগঠিত নেতৃত্ব ছাড়া সফলতা আসবে না।

আপনি আমাদের গুরুজন। আপনি আগামীর রাষ্ট্রনায়ক ,আপনাকে পরামর্শ দেওয়ার যোগ্যতা আমার নেই। কিন্তু মানুষের মতামত ও বাস্তব পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেই এই চিঠিটি লিখলাম। আমি আপনাকে শুধু কিছুদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই না , চাই না কোন কারনে আপনার উপর আগের সরকারের মত অপবাদ আসুক । তবে আমি মোটামুটি নিশ্চিত , আপনার শীর্ষ নেতারাও আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে । উনারা জনগণের পালস বুঝে না , জনতার বিপক্ষে । যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে, দয়া করে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

শুভ কামনা ।
#bangladesh
#বাংলাদেশ’

সবার দেশ/কেএম