Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ মুখপাত্রা নিন্দাকাব্য

প্রকাশিত: ০০:২০, ১২ এপ্রিল ২০২৫

ফ্ল্যাট আর ফ্ল্যাটার

‘হেবায়’ হেবাকাণ্ড! টিউলিপের ফ্ল্যাট গেলো কোথায়?

‘হেবায়’ হেবাকাণ্ড! টিউলিপের ফ্ল্যাট গেলো কোথায়?
ছবি: সবার দেশ

রাজনীতির অলিগলিতে যদি হঠাৎ করে টিউলিপ সিদ্দিকের মতো একজন ‘গুড স্যামারিটান’ বেরিয়ে আসেন, তবে ধরে নিতে হবে, কিছু একটা ‘গড়বড়’ হচ্ছে। হ্যাঁ, এবার তার হাত থেকে এসেছে এক নতুন নাটক—যেটি ৬ লাখ পাউন্ডের ফ্ল্যাটকে কেন্দ্র করে পাল্টে দিচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতির সমীকরণ। 

আর এই নাটকের কাহিনিতে কেন্দ্রে রয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক, যিনি লন্ডনে কিপটিতেই নিজের পদচিহ্ন রেখেছেন। কিন্তু এবার তিনি বাংলাদেশের ঢাকার এক বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে নতুন ‘কাহিনির’ জন্ম দিয়েছেন, যার পুরো অবস্থা একটু জটিল—একেবারে রোমাঞ্চকর গল্পের মতো!

দেখতে দেখতে হেবাও হয়ে গেল হেবাকাণ্ড! ফ্ল্যাটটা দিলেন বোনকে, কিন্তু কাগজে কলমে তা রয়ে গেল নিজেরই নামে—এতই ভালোবাসা বুঝি?

টিউলিপ সিদ্দিক, যিনি লন্ডনে রাজনীতির সুবাস ছড়ালেও, বাংলাদেশের ঢাকায় একটা ‘ভরসার ফ্ল্যাট’ রেখেছেন। শুনছি সেটা আবার ৬ লাখ পাউন্ডের চুনো ফ্ল্যাট নয়, বিলাসবহুল ফাটকা!

শুরুটা সোজা। টিউলিপ সিদ্দিক নিজের বোন, আজমিনাকে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন—ভালোবাসার নিদর্শন, নয়কি? 

কিন্তু হঠাৎ! এই উপহারটি আসলে কি উপহার? সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে যা বেরিয়ে আসছে, তা অবশ্য একেবারে আলাদা ছবি উপস্থাপন করছে। অফিসে গিয়ে জানা যাচ্ছে, ফ্ল্যাটের মালিকানা এখনও টিউলিপেরই নামে রয়ে গেছে।

এখন প্রশ্ন উঠছে, ‘কেন?’ কি এটাই সৎ উপহার? ফ্ল্যাটের মালিকানা বদলানোর সময় কি সেই ভালোবাসা এমনভাবে ‘হেবায়’ চলে গেছে? আর হেবার মধ্যে কি সেই শুদ্ধতা লুকিয়ে ছিল? টিউলিপ সিদ্দিক নিজে বলছেন, ‘বোনের জন্য হেবা করেছি।’ কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রি অফিস বলছে, ‘হেবার নাম শুনে খাতা কেঁপে উঠছে, কিন্তু মালিকানা কেন বদলালো না?’

হেবায় সবকিছু ঠিক ছিল, তবে কি জানি—ব্যারিস্টাররা একে সরাসরি ‘আউট অব জুরিসডিকশন’ বলে ঘোষণা করেছেন! যার অর্থ হলো, তাদের স্বাক্ষরেও যেন কোনো মুদ্রার ধ্বনি শোনা যাচ্ছে না। আদালত বলছে, ‘হেবার বৈধতা তো ঠিক, কিন্তু কি করে হেবা হলে নাম বদলায় না?’ কোথাও তো কিছু গলদ রয়েছে!

ডেইলি মেইল তো একেবারে হেবায় হিরে আছে কিনা তা খুঁজে দেখছে। তাদের বিশ্লেষণে এমন কিছু তথ্য বেরিয়েছে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশের গুমোট পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করছে। অথচ, এসবের মাঝেও টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘উইটহান্ট হচ্ছে, কেবলমাত্র শেখ হাসিনার কারণে আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পনা চলছে!’—আসলেই কি এই গল্পে ‘হেবার’ চাপ রয়েছে, নাকি সেটা একেবারে শুদ্ধ?

সবশেষে, ফ্ল্যাট তো রয়ে গেছে, কিন্তু মালিকানা কোথায়? শর্ত একটাই—ফ্ল্যাট আছে, বোন আছে, কিন্তু দলিল, সে তো একেবারে গায়েব। এই পুরো কাহিনী এখন এক ‘হেবামেন্ট’-এর মতো, যার নাম হয়ে গেছে ‘হেবা: হেডিং ইভরিথ বিট অ্যাকচুয়ালি (H.E.B.A.)’—এটিই হল নতুন রাজনীতির ফর্মুলা, যেখানে সবকিছুই হেবায় বদলে যায়, কিন্তু পকেটটা একটুও শুকায় না!

রসাত্মকভাবে বললে, এই হেবার গল্প যদি কোনো ফিল্ম হত, তাহলে তার নাম হতে পারত ‘ফ্ল্যাট আর ফ্ল্যাটার!

সবার দেশ/এমকেজে