Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন

গৃহকর্মী-যৌনকর্মীদের শ্রমিক স্বীকৃতিসহ ৪৩৩ সুপারিশ

গৃহকর্মী-যৌনকর্মীদের শ্রমিক স্বীকৃতিসহ ৪৩৩ সুপারিশ
ছবি: সংগৃহীত

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গৃহকর্মী ও যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়াসহ ১৫টি মূল বিষয়ে ৪৩৩টি সুপারিশ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন পেশ করেছে। 

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক। 

প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে শ্রম আইনে গৃহকর্মী ও যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান, সব খাতে ৬ মাস পূর্ণ বেতনে প্রসূতি, প্রসব ও দত্তকজনিত ছুটি নিশ্চিত করা, শ্রম আইনে ‘প্রসূতি কল্যাণ’ শব্দের পরিবর্তে ‘প্রসূতি অধিকার’ ব্যবহার, গর্ভধারণ থেকে প্রসবোত্তর ছুটি পর্যন্ত চাকরিচ্যুতি নিষিদ্ধ করা এবং ২ সপ্তাহ পূর্ণ বেতনে পিতৃত্বজনিত ছুটি নিশ্চিত করা। এ ছাড়া অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নারীর কাজের স্বীকৃতি এবং গণপরিবহন আইনে সহিংসতা ও যৌন হেনস্তা নিরসনে সুনির্দিষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন <<>> জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

পরবর্তী সরকারের মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে সব খাতে নারী-পুরুষ শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ, মজুরি বৈষম্য নিরসন, বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি বছর ন্যূনতম মজুরি পুনর্মূল্যায়ন এবং বাঁচার মতো মজুরির জন্য নীতি প্রণয়ন। 

নারী শ্রমিকদের নিরাপদ অভিবাসনের জন্যও বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো হলো অভিবাসী ও প্রত্যাগত নারী শ্রমিকদের সুরক্ষা, সম্মান ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে অভিবাসন আইন, বিধি ও নীতিতে সংশোধন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদন এবং প্রত্যাগত নারী অভিবাসী শ্রমিকদের পুনঃএকত্রীকরণ ও কর্মসংস্থান সহজ করতে খসড়া নীতি অনুমোদন ও বাস্তবায়ন। 

প্রতিবেদনে দীর্ঘমেয়াদি আকাঙ্ক্ষা হিসেবে সব খাতে শোভন কাজ, বাঁচার মতো মজুরি এবং আন্তর্জাতিক শ্রম ও অভিবাসন আইনের সুযোগ-সুবিধাসহ নারীদের অধিক অভিবাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

প্রতিবেদন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য মাহীন সুলতান, ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, কল্পনা আক্তারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। শিরীন পারভীন হক বলেন, ৪৩৩টি সুপারিশের মধ্যে ২০০টি বাস্তবায়িত হলেও নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নে বড় অগ্রগতি হবে। আমরা এ সুপারিশ নিয়ে জনপরিসরে আলোচনা ও বিতর্ককে স্বাগত জানাই। 

প্রতিবেদনে সংবিধান, নারীর অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ, সহিংসতা মুক্ত সমাজ, জনপ্রশাসন, গণমাধ্যম, ক্রীড়া, সংস্কৃতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য সুপারিশও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সবার দেশ/কেএম