দাম কমছে ইন্টারনেটের
এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মাসিক খরচ কমতে পারে। বিশেষ করে মোবাইল অপারেটর ও ব্রডব্যান্ড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো দাম কমানোর মাধ্যমে গ্রাহকদের উপকৃত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য আসছে সুখবর। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি (বিএসসিসিএল) তাদের সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম ১০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড সার্ভিস উভয়ের ক্ষেত্রেই কোম্পানিগুলোর খরচ কমে আসবে, যা সাধারণ গ্রাহকদের জন্যও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
শনিবার (২২ মার্চ) বিএসসিসিএলের বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রোববার (২৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, ইন্টারনেটের দাম কমানোর জন্য সরকার কাজ করছে, যাতে সাধারণ মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পেতে পারে।
সরকারের নেয়া এ উদ্যোগের ফলে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) পর্যায়ে সব ব্যান্ডউইথের দাম ১০ শতাংশ কমে যাবে। পাশাপাশি, ব্যাকবোন পর্যায়ে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডাব্লিউডিএম (উডউগ) সুবিধা দেয়া হবে, যার ফলে টেলিকম কোম্পানিগুলোর ট্রান্সমিশন খরচ ৩৯ শতাংশ পর্যন্ত কমবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ইতোমধ্যে টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। অপারেটররা ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এছাড়াও তিনি জানান, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৬ (SEA-ME-WE 6) এর সঙ্গে যুক্ত হবে। এটি সংযুক্ত হলে দেশের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ আরও বিস্তৃত হবে এবং ইন্টারনেট সেবার মান উন্নত হবে।
এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মাসিক খরচ কমতে পারে। বিশেষ করে মোবাইল অপারেটর ও ব্রডব্যান্ড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো দাম কমানোর মাধ্যমে গ্রাহকদের উপকৃত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সার্বিকভাবে, সরকারের এ উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
সবার দেশ/কেএম