ট্রাম্পের সুনজর চান মোদি
চীনের এঁটো বোয়িংয়ে ভারতের নজর

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান শুল্কযুদ্ধ ভারতীয় বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া ও আকাশ এয়ারের জন্য সুযোগ তৈরি করেছে। চীন সরকার মার্কিন উড়োজাহাজ কেনা বন্ধের নির্দেশ দেয়ায় চীনা এয়ারলাইনসের জন্য বরাদ্দ বোয়িং উড়োজাহাজ ভারতে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এতে ভারতীয় সংস্থাগুলো দ্রুত উড়োজাহাজ পেতে পারে, যা তাদের দীর্ঘ অপেক্ষার সময় কমাবে।
চীনের এয়ারলাইনসগুলো বোয়িংয়ের কাছে প্রায় ১০০টি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স জেট এবং ১১টি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের অর্ডার দিয়েছিলো। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫% শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় চীন মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫% পাল্টা শুল্ক আরোপ করে এবং অর্ডার বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এয়ার ইন্ডিয়া ও আকাশ এয়ার, যারা একই মডেলের উড়োজাহাজের অর্ডার দিয়েছে, এ সিদ্ধান্তের সুবিধা পেতে পারে। বর্তমানে বোয়িংয়ের কাছে ১০টি তৈরি উড়োজাহাজ অবিক্রিত রয়েছে।
ভারতের বিমান চলাচল খাতে যাত্রীসংখ্যা বাড়লেও উড়োজাহাজের সংকটে এয়ার ইন্ডিয়া ও আকাশ এয়ার সমস্যার মুখে। বোয়িংয়ের পাশাপাশি তারা এয়ারবাসের উপরও নির্ভরশীল। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুসারে, এয়ার ইন্ডিয়ার মালিক টাটা গোষ্ঠী চীনের জন্য প্রস্তুত উড়োজাহাজ দ্রুত সরবরাহের জন্য বোয়িংয়ের কাছে অনুরোধ করতে চলেছে। এতে বোয়িং অবিক্রিত উড়োজাহাজ সরবরাহ করে লাভবান হতে পারে। অতীতে চীনের অর্ডার বাতিলের কারণে এয়ার ইন্ডিয়া ৪১টি ৭৩৭ ম্যাক্স জেট পেয়েছিলো।
ট্রাম্পের সুনজরে মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে এ সুযোগ কাজে লাগাতে চান। শুল্কযুদ্ধের ফলে ভারতীয় এয়ারলাইনসের বহর সম্প্রসারণ ত্বরান্বিত হতে পারে, যা দেশের বিমান চলাচল খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে, এয়ার ইন্ডিয়া বা আকাশ এয়ার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
শুল্কযুদ্ধ ভারতের জন্য স্বল্পমেয়াদি সুবিধা এনে দিলেও, বোয়িংয়ের উৎপাদন সীমাবদ্ধতা এবং চীনের জন্য বরাদ্দ উড়োজাহাজের মজুদ ২০২৫ সালের মধ্যে ফুরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। মোদির কৌশলগত কূটনীতি এ সুযোগকে ভারতের বিমান চলাচল খাতের প্রবৃদ্ধির জন্য কাজে লাগাতে পারে।
সবার দেশ/কেএম