রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’, বিএনপি-জামায়াতের অবস্থান

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের প্রস্তাবে শর্তসাপেক্ষে একটি ‘মানবিক করিডর’ দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তবে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা করেছে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো—বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।
বিএনপির অবস্থান
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁওয়ে এক গণসংযোগ অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রাখাইনে মানবিক করিডর দেয়ার সিদ্ধান্ত ‘অনেক বড়’ এবং এর সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক শান্তি-স্থিতিশীলতা জড়িত। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, গাজায় জর্ডান বা মিসর থেকে মানবিক সহায়তা পাঠানোর মতো এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সরকারের উচিত ছিলো এ বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্যে পৌঁছানো। তিনি সমালোচনা করে বলেন, সরকার এককভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ঠিক নয়। মানুষকে সাহায্য করতে আমাদের আপত্তি নেই, জাতিসংঘের উদ্যোগেও আপত্তি নেই। তবে এটি হতে হবে সবার সমর্থনে।
জামায়াতের অবস্থান
একই দিন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান তার ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এ বিষয়টি জাতির সামনে স্পষ্ট করা দরকার। কারণ এর সঙ্গে অনেক নিরাপত্তা বিষয় জড়িত থাকতে পারে। তিনি সরকারের কাছে এ বিষয়ে স্বচ্ছতা ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দাবি করেন।
বিএনপি ও জামায়াত উভয়ই সরকারের এ সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা ও সব দলের সঙ্গে আলোচনার ওপর জোর দিয়েছে। বিএনপি যেখানে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন তুলেছে, সেখানে জামায়াত নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি উল্লেখ করেছে। তবে উভয় দলই মানবিক সহায়তার বিষয়ে আপত্তি না থাকার কথা উল্লেখ করেছে, শুধু প্রক্রিয়াগত স্বচ্ছতা ও সমন্বয়ের অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সবার দেশ/কেএম